স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুযোগ্য জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন এর সহযোগীতায় অবশেষে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যাওয়া এসএসসি, এইচএসসির সার্টিফিকেট, বই খাতাসহ সম্মান ২য় বর্ষের প্রবেশ পত্র হারানো শিক্ষার্থী লাকী রাণী দাসের পরীক্ষা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করলেন। এতে তার অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম থেকে উত্তোরণ হয়েছে।
পুড়ে ছাই হয়ে যায় লাকি রানী দাসের। সব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে যায় লাকি ও তার পরিবার। সম্মান ২য় বর্ষে পরীক্ষা দেয়া নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চিয়তা। সেই লাকির পরীক্ষা নেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করলেন
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় গত ২৯ নভেম্বর সঞ্জিত দাসের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট আগুনে দুটি ঘরসহ নগদ টাকা, কৃষি পণ্য, বসতঘর, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্রসহ শিক্ষার্থী লাকী রানী দাসের প্রবেশপত্র ও বই খাতা পুড়ে যায়। এই ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী, সহকারী কমশিনার (ভূমি) তাহমিনা আক্তার।
এই নিয়ে গত ২ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী লাকি দাসকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হন।
আগামী ৭ ডিসেম্বর লাকী রাণীর সমাজ বিজ্ঞান ও ১০ ডিসেম্বর অর্থনীতি দুটি পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তার কথা শুনেন জেলা প্রশাসক। তখন তিনি লাকিকে পরীক্ষার বিষয়ে দুশ্চিন্তা না করতে বলেন। লাকির পুড়ে যাওয়া সকল কাগজপত্র বোর্ড থেকে উঠিয়ে আনতে এবং পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে দিতে সকল সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমা আশরাফী।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, লাকির শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল কাগজপত্র পুড়ে যাওয়াটা খুব যন্ত্রণাদায়ক। সে খুব হতাশ ছিল। তার পরীক্ষার বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল সহযোগিতা করা হবে।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply